ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৩/০১/২০২৪ ১:০৮ পিএম

নিজেদের বাজারে দাম কমে যাওয়ায় পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। দেশটির ঊর্ধ্বতন এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দেশের মূল উৎপাদন কেন্দ্রগুলোয় পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমে গেছে। সে জন্য সরকার রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার চিন্তা করছে। যদিও পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত।’ খবর ইকোনমিক টাইমস।

বিশ্বের অন্যতম বড় পেঁয়াজ রফতানিকারক ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৭ ডিসেম্বর নিত্যপণ্যটি রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ওই নির্দেশনা কার্যকর হয় তার পরদিন অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর থেকে, যার বড় প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে। দুই-একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২৫০ টাকার ওপর উঠে যায়। কেননা বাংলাদেশই ভারতীয় পেঁয়াজের বড় বাজার।

এদিকে রফতানি বন্ধের পর থেকে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। গত কয়েক দিনে তা ২০ শতাংশ কমে কুইন্টালপ্রতি ১ হাজার ৫০০ রুপিতে নেমে এসেছে, যা ১ হাজার ৮৭০ রুপিতে উঠেছিল। নিষেধাজ্ঞার পর মহারাষ্ট্রের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৬০ শতাংশ। মূলত নতুন খরিফ পেঁয়াজ বাজারে আসায় এভাবে দাম কমছে। প্রতিদিনই বাজারে আসছে ১৫ হাজার কুইন্টাল নতুন পেঁয়াজ। ফলে প্রতিনিয়তই দাম কমছে নিত্যপণ্যটির।

ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, তারা চান না যে পেঁয়াজের দাম খুব বেশি পড়ে যাক। বিশ্ববাজারে রফতানিকারক হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে এবং যেসব দেশের সঙ্গে এরই মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে, তার প্রতি সম্মানও দেখাতে চায়।

নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আগে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। তখন এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এমনকি তারা ধর্মঘটও করেন। এরপর রফতানির ন্যূনতম দাম বেঁধে দেয়া হয় এবং শেষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। ভারত রফতানি বন্ধ করায় বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে সরকার বিভিন্ন বিকল্প উৎস থেকে নিত্যপণ্যটি আমদানিতে তৎপর হয়। এর পরও পেঁয়াজের দাম খুব একটা কমেনি। তবে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে ওঠায় দেশের বাজারে কিছুটা দাম কমে। কিন্তু সিন্ডিকেট করে মুড়িকাটা পেঁয়াজেরও দাম বাড়িয়ে দেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাজারে প্রতি কেজি পুরনো দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়। আর মুড়িকাটা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। অন্যান্য বছরের এ সময়ে যদিও ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...